শিল্প খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া অন্য মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজবাড়ী জেলা সদরের বানিবহ গ্রামের কামরুল মিয়ার ছেলে মো. রাফিজুল মিয়া (২২), যশোরের ঝিকরগাছা থানার বারবাতপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে জিলস্নুর রহমান (২০), পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার টিয়াখালী গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. জনি হাওলাদার (২২), টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার যুকেরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. ওয়াসিম হোসেন (২৫), দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার শ্যামনগর গ্রামের খলিল মন্ডলের ছেলে মো. লিমন মন্ডল (২০), শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার বনগাঁও খন্দকারপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার জাপড়া অভিরাম গ্রামের মৃত বেলস্নাল শেখের ছেলে নাজমুল হুদা আলাল (২৪), মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার বাসাইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন (২৫), পটুয়াখালী জেলা সদরের কালিকাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. রাকিব হাসান মুক্তা (৩৩), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার পিঁপড়াখালী গ্রামের মো. বছির হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ হাওলাদার (২১), রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানার ঝিনজিরা রসুলপুর গ্রামের মৃত দানেছ আলীর ছেলে মো. আব্দুস সালাম (২৯), সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার বারইটেপরি গ্রামের আদম মন্ডলের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (২২), বরগুনা জেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামের আব্দুল বারেক গাজীর ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২৮), চাঁদপুর জেলা সদরের ধনপ্রদ্দি গ্রামের আব্দুস শুকুরের ছেলে মো. আব্দুর রহমান (৩৫), পটুয়াখালী জেলা সদরের ঠেঙ্গাই গ্রামের রুবেল তালুকদারের ছেলে আজমীর তালুকদার (১৯), ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার সেওতা গ্রামের মৃত ফজলে আলী খানের ছেলে মো. হানিফ খান (৪৫), আশুলিয়ার নয়ারহাট সংলগ্ন গোপীনাথপুর গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. নয়ন হোসেন (২২) ও একই থানার গোপীনাথপুর গ্রামের মো. কুতুব উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহম্মেদ গল্প (১৮)। গ্রেপ্তার ১৬ জন আশুলিয়ার কাঠগড়ার আমতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গ্রেপ্তার ১৮ জন আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে ও বাকি দুজনকে অন্য দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।