সারাদেশে তীব্র তাপদাহের পর দু'দিন ধরে শুরু হয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। প্রায় পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশ জুড়ে। তবে দু'দিনের টানা বর্ষণে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে জনজীবনে। বৃষ্টিতে নদী নালা খাল বিলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের কারণে নদীর পাড়গুলো ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে মানুষের চলাচলের রাস্তা, কৃষকের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি জমি।
এদিকে প্রবল স্রোতের কারণে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বড়হাট এলাকার পাথরঘাটা নদীর ধার ঘেষে বৃষ্টিশ পাড়া এবং প্রফেসর পাড়ার মানুষের চলাচলের জন্য নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। স্রোতে সাঁকোর পাশাপাশি চলাচলের জন্য সড়কের কিছু অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ।
এ ব্যাপারে বড়হাট গ্রামের কলেজ ছাত্র শোভন শর্মা রনি বলেন, রাস্তাটি নদীর ধার ঘেঁষে হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে যায়। এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রতিবার মেরামত করা হলেও ভাঙনরোধ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রাস্তা এবং কৃষি জমির বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, আনুমানিক দু'বছর পূর্বে তার এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।
এই সাঁকো দিয়ে বৃষ্টিশপাড়া এবং প্রফেসর পাড়ার প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ যাতায়াত করে। এই সাঁকোর ওপর দিয়ে সিপাইদীঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকে। মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম চৌধুরী শাহিন জানান, 'এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মাণের পর আমি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সাঁকোটি পরিদর্শন করি।
কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টিতে নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ায় রাস্তা এবং ফসলি জমিসহ সাঁকোটি নদীতে ডুবে যায়। এই সাঁকোটি দ্রম্নত মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিতভাবে আবেদন করা হবে।' প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রম্নত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেন।