বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সেপেক্টর (ডিআইজি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, 'এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এ দুটো শব্দ অনেক সময় হিনমন্যতার সৃষ্টি করে। তাই এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে এই শব্দগুলো পরিহার করতে হবে। দেশ আমাদের সবার, তাই আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। গত শুক্রবার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের তুলশীরাম সড়কের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে উরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আমরা সবাই এক। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। যার প্রমাণ আজকে এই পূজামন্ডপ। এখানে হিন্দু মুসলমান আমরা সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন, ট্রাফিক বিভাগের শহর ও যানবাহন পরিদর্শক মাহফুজুর আলম ও জাকির হোসেন, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজকুমার পোদ্দার রাজু, হিন্দু কল্যাণ সমিতি সৈয়দপুরের সভাপতি তুষার কান্তি রায়, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সৈয়দপুর শাখার আহবায়ক সুমিত কুমার আগরওয়ালা প্রমুখ।
এদিকে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান সৈয়দপুর উপজেলার একাধিক পুজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পূজা উৎযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সভায় উৎকণ্ঠার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম কেউই উৎকণ্ঠা নিয়ে যাবেন না। আপনারাও কথা দিয়েছিলেন। আমরাও কথা দিয়েছিলাম। আজ পুরো নীলফামারী জেলা জুড়ে আনন্দঘন পরিবেশে সবাই পূজা উৎযাপন করেছে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদল গঠন করে প্রতিটি পূজামন্ডবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি শান্তিপূর্ণ জাকজমক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সবার উপস্থিতিই বলে দেয় উৎসবের আমেজ।