বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে। নিয়মিত ওষুধ সেবনের পরও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ। এ রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে উচ্চ রক্তচাপজনিত অসংক্রামক রোগ ও মৃতু্য কার্যকরভাব কমাতে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে টেকসই অর্থায়ন জরুরি।
শনিবার অনলাইনে আয়োজিত 'উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়' শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। গেস্নাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ২৩ সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে মৃতু্য এবং পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞা'র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা'র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।