বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া একজনের নাম প্রকাশ করছে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তার বেতন ভাতার সরকারি অংশ বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মাউশির জাল সনদের শিক্ষকদের নিয়ে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। এ নির্দেশনায় হুমায়ন কবিরকে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ৫ লাখ ১০ হাজার ৭০০ ফেরত দিতে হয়।
প্রভাষক হুমায়ন কবির বলেন, '২০১২ সালে চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। ২০২৩ সালে সারাদেশে জাল সনদে চাকরি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেখানে আমার নামটি এসেছে দেখে আমি হতবাগ হয়েছি।
এনটিআরসি এ আমি পরীক্ষা দেই ২০০৫ সালে এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। ওই সার্টিফিকেট দিয়ে আমি চাকরি করে আসছিলাম এবং বেতন ভাতা উত্তোলন করি। সে সময়ের প্রিন্সিপাল হাছান আমার সার্টিফিকেট নিয়ে এনটিআরসি যাচাই করতে পাঠান। ২০২৩ সালে যাচাইয়ে আমার সার্টিফিকেট সঠিক মর্মে ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়। মাউশি থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আমি সে নোটিশের লিখিত জবাব দেই। কিন্তু আমি এখনো সেই নোটিশের ভালো বা মন্দ কোনো জবাব পাইনি। এতে আর্থিক, মানসিক ও সামাজিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই এখন আমি কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্ত হবো।'
চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলীমুর রেজা বলেন, 'আমি এই তালিকা দেখে খোঁজ নেই। অফিস থেকে আমাকে জানানো হয় এ বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি একটি চিঠি কলেজে আসবে। চিঠি পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।'
সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সারোয়ার ইউসুফ জামান বলেন, কলেজের এসব বিষয় তো আমার কাজের মধ্যে পরে না। তারপরও খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।'
বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী জানান, 'জাল সনদে শিক্ষকদের তালিকা পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'