ঈশ্বরদীতে টিসিবির কার্ড ভাগাভাগা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার বিকালে উপজেলার লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গোলাগুলি ও হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীরু মোলস্না, রাজিব মোলস্না, বিএনপিকর্মী মিলন বিশ্বাস, রাব্বি মোলস্না, জামায়াতকর্মী হাসান, মো. তোফায়েল, মো. একরাম এবং ফিরোজ ফকির।
লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জিলস্নুর রহমান জানান, আমরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা আলোচনাসাপেক্ষে লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে টিসিবি কার্ড বরাদ্দের উদ্যোগ গ্রহণ করি। বুধবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি নেতা বিরু মোলস্না ও জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সেক্রেটারি আকরাম এ নিয়ে আলোচনার সময় কথা কাটাকাটি শুরু করে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় সেটা সমাধান হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আকরাম আলীর বাড়ির দিকে রওনা হলে রাস্তায় তাদের আকরাম আলীর লোকজন বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সেখানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি। গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোলস্না বলেন, আকরাম হোসেন এতদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এখন জামায়াতে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন। জামায়াতের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে জামায়াতের যুব সংগঠনের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আকরাম বলেন, 'আমি ২০১৮ সাল থেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে অপমানজনক কথাবার্তা বলে স্থানীয় বিএনপিরা। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমাদের আগেই কথাবার্তা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু বুধবার বিএনপির এক নেতা বলেন, 'জামায়াত নেতাদের কথায় কাউকে কোনো কার্ড দেওয়া হবে না।' এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছে।'
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ জমা দেয়নি।