বরিশালে শেখ হাসিনাসহ দেড় হাজার আ'লীগ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এজাহার

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় বরিশালে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থানায় এজাহার জমা হয়েছে। এজাহারে সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুলস্নাহ এবং আবুল খায়ের আব্দুলস্নাহসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। ৫ শতাধিক নামধারীসহ দেড় হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় এ লিখিত এজাহারটি জমা দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া। বুধবার রাতে এজাহারটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্তও এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু হয়নি বলে জানা গেছে। ওসি মিজানুর রহমান জানান, বুধবার রাতে জিয়া উদ্দিন সিকদার মামলার এজাহারটি থানায় জমা দিয়েছেন। লিখিত এজাহারটি থানা পুলিশ বুঝে নিলেও এটি এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এজন্য সময়ের প্রয়োজন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপির শোর্কযালি কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাকি আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উপস্থিতিতে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদী ও কয়েকজন সাক্ষীকে কুপিয়ে-পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় জমা দেওয়া এজাহারে নামধারী ৫৫৭ জনের বাহিরে অজ্ঞাতনামা আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল, টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে ওইসব জনপ্রতিনিধি ছাড়াও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বরিশালে এটাই প্রথম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করে এজাহার দাখিল হলো।