আজকের যায়যায়দিন

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার সদরে বরইছড়িতে ভয়াবহ আগুনে ৮টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দোকানের সামনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভস্মীভূত হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা।

আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- তাহেদুল ইসলামের শরীফ ফার্মেসি, সুলতান মাহমুদের গাড়ির ওয়ার্কশপ ও চাকার দোকান, আব্দুর রহিমের চা দোকান, মোস্তাফিজুর রহমান মুন্নার এম কে কে এন্টারপ্রাইজ (কম্পিউটার দোকান), মো. ইব্রাহিমের উর্মী টেইলার্স, আব্দুর রহমানের রহমান কম্পিউটার, সাদ্দাম হোসেনের সাদ্দাম স্টোর (মুদি দোকান) এবং মো. রানার রানা ফার্নিচার। এছাড়া দোকানের সামনে পার্কিংরত অবস্থায় রাইখালী নিবাসী অনুতোষ দে'র একটা অটোরিকশা ভস্মীভূত হয়।

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টায় আগুন লাগে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা সদরে অবস্থিত খাবারের দোকান লুমিনাস জোনের কারিগর রুহুল আমিন। তিনি বলেন, 'আমি রাতে দোকানে ছিলাম। হঠাৎ কিছু শব্দ পাই। দোকান খুলে দেখি আমাদের খাবারের দোকানের বিপরীতের দোকানে আগুন লেগেছে। এ সময় কেউ ছিল না, আমি দোকান থেকে বালতি নিয়ে পানি ছিটাই। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিলে ওসিসহ পুলিশ সদস্য ও ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন।

এদিকে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে কাপ্তাই ইউএনও মহিউদ্দিন এবং কাপ্তাই থানার ওসি মো. মাসুদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর ভোর সাড়ে ৪টায় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের ১টা ইউনিট এসে প্রায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা ভোর ৪টা ১০ এর দিকে আগুন লাগার সংবাদ পাই। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে বৈদু্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

চাঁদপুরে ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম ইলিশের আড়ত