মুচলেকার শর্তে রেহাই পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার!
প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শরীয়তপুর সদর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সোবাহান মুন্সী ঘুষ কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে মুচলেকা দিয়ে আপতত রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘুষ আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এই কর্মকর্তাকে দ্রম্নত অপসারনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা।
ইউএনও ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার কাঞ্চনপাড়া গ্রামের মুনিয়া নামের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী তার পিএসসি সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের জন্য ১৯ নং উত্তর মহিষার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনের কাছে যান।
প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে টিইও'র জন্য ৩ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে তার পিয়ন রাসেল মিয়া জানান। ঘুষ দাবি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি ইউএনও রাজিবুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জানান। ইউএনও তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সোবাহান মুন্সীকে ডেকে আনেন। আব্দুস সোবাহান মুন্সি ঘুষের কথা অস্বীকার করলে ১৯ নং উত্তর মহিষার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, উপজেলা একজন সিনিয়র প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিন মাস্টার, শিক্ষক নেতা সুজল মাস্টারসহ স্থানীয় শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক বকরেন ইউএনও।
সবার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অভিযুক্ত প্রমাণিত হন। পরে শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে, মানবিক দিক বিবেচনা করে, ইউএনও মুচলেকার শর্তে তাকে ক্ষমা করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সোবাহান মুন্সী বলেন, 'আমি এ ঘটনায় কোন টাকা পয়সা দাবি করিনি। আমার উপর জুলুম হয়েছে।'