মাছ ধরার ট্রলারের ছাদে লাউ চাষ। এমনই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় এক ট্রলার মালিক। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে চলাচলকারী ট্রলারের ছাদে লাউ চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের জেলে মো. নূরনবী। শখের বশে ট্রলারের ছাদে ড্রামে মাটি দিয়ে লাগিয়েছেন লাউ গাছ।
পুরনো জাল আর খুঁটি দিয়ে তৈরি করেছেন মাচাং। আর তাতে সুবজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে ছোট বড় ১০-১২টি লাউ। বিষ ও রাসায়নিকমুক্ত এই লাউ নিজে খাওয়ার পাশাপাশি দিয়েছেন পরিচিতদেরও। গাছে আছে আরও ফুল। মাছ নিয়ে প্রতিদিনই লংগদু থেকে কাপ্তাই মৎস্য ঘাটে যাতায়াতের ফাঁকে করেন গাছের যত্ন।
বোটের ছাদে লাউ চাষি মো. নুর নবী বলেন, '২০১৮ সালে আমি লাউ চাষ করি ভালো ফলন পেয়েছি। মাঝের বছর করতে পারি নাই। এবার আবার করলাম। মোটামুটি এবারের লাউগুলো ভালো হয়েছে।'
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে অন্য ট্রলারচালক ও স্থানীয়দের মধ্যে। এমন চাষাবাদে অনেকের মধ্যেই তৈরি করেছে আগ্রহ।
বোট চালকরা বলেন, আরও পাঁচ-সাত হাজার বোট আছে তারাও করতে পারে। আরেকজন বলনে, তার নিজস্ব প্রয়োজন মিটানোর পরেও বাইরে তারা বিক্রি করতে পারে। এটিকে অনুকরণীয় উদ্যোগ বলছে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ ধরনের চাষাবাদে বোট চালকরা উদ্যোগ নিলে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও কৃষি পরামর্শ দেয়া হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'যাদের বোট রয়েছে তাদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি এবং বীজের যে একটা বিষয় আছে সেটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ফ্রি দেওয়া হবে যদি কেউ এই চাষ করতে চাই।'
কাপ্তাই হ্রদে চলাচলকারী পাঁচ হাজারের বেশি ইঞ্জিনচালিত নৌযানকে এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহী করা গেলে জেলার সবজি ভান্ডার যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।