আমতলীতে স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে পিটিয়ে জখম
প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় উত্ত্যক্তকারী কুদ্দুস গাজী ও তার সহযোগীরা স্বামী জাফর গাজী (৩৫), স্ত্রী মুক্তার বেগম (২৮), শালী শিরিন বেগম (২৪) ও শাশুড়ি রাহেলা বেগমকে (৫০) পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্বামী জাফর গাজী এমন অভিযোগ করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার বিকালে উপজেলার গাজীপুর বন্দরের বাঁধঘাট এলাকায়।
জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর জাফর গাজী আমতলীর গাজীপুর বন্দরের বাঁধঘাট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। ওই বাসার পাশে প্রতিবেশী কুদ্দুস গাজী গত এক মাস ধরে জাফর গাজীর স্ত্রী মুক্তা বেগমকে উত্ত্যক্ত করে আসছেন এমন দাবি ভুক্তভোগী মুক্তার। উত্ত্যক্তের ঘটনা স্বামী জাফরকে জানালে সোমবার তিনি কুদ্দুস গাজীকে উত্ত্যক্ত করতে বারণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কুদ্দুস গাজী তাকে মারধর করেন। পরে জাফর কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলে কুদ্দুস ও তার লোকজন ফের তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে স্ত্রী মুক্তা বেগম, শালী শিরিন বেগম ও শাশুড়ি রাহেলা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুদ্দুস গাজী, শাহাবুদ্দিন গাজী, ছালাম গাজী ও বরজান গাজী বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক মুক্তা ও শিরিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
জাফর গাজী বলেন, 'প্রতিবেশী কুদ্দুস আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এতে বাধা দেওয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধর করে। আমার বাড়ি এ এলাকায় না হওয়ায় তারা আমার ও আমার পরিবারে ওপর নির্যাতন করছে।'
উত্ত্যক্তকারী কুদ্দুস গাজী উত্ত্যক্তের কথা অস্বীকার করে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।' আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, 'অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'