পরিবারের লোকজন প্রচার করেছিলেন শীলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশের পর জানা গেল তিনি আত্মহত্যা করেননি; বরং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দী ইউনিয়নের সাহেপ্রতাব এলাকায়।
সাহেপ্রতাব এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবদুল কাদির মৃধার মেয়ে সানজিদা আক্তার শীলা। বছর তিনেক আগে একই এলাকার শহিদুলস্নাহ মুন্সির ছেলে ইশতিয়াক চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মারা যাওয়া আগে শীলার নামে বাড়ি এবং পর্যাপ্ত সম্পত্তি লিখে দেন বাবা আব্দুল কাদির। শীলার আর্থিক অবস্থার প্রতি লোভে পড়ে শহিদুলস্নাহ মুন্সি অনেকটা কূটকৌশলে তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করেন। কিন্তু বিয়ের বছর না ঘুরতেই শীলার সঙ্গে তাদের বৈরী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর কারণ শীলার নামে তার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করা। কিন্তু শীলা তাতে রাজি হননি। এসব নিয়ে পরিবারে মনোমালিন্য ছিল। এরই জেরে গত ১৪ মে রাতে শীলা হত্যাকান্ডের শিকার হন। পরদিন ১৫ মে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এমনকি তার মা সাহিদা বেগমও প্রচার করেন, শীলা ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ শীলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেল শীলা আত্মহত্যা করেননি; বরং তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদী মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর শেখ সাইয়াদুর রহমান জানান, এটি একটি হত্যাকান্ড, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কে বা কারা করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।