দাবি ১৫ লাখ টাকা
গুরুদাসপুরে তিন ব্যক্তিকে সর্বহারা পার্টির চিঠি!
প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন ব্যক্তির বাড়িতে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছে সর্বহারা পার্টির সদস্যরা। গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির গেটের ভেতরে খাম ভর্তি চিঠি পান গুরুদাসপুরের রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকার তিন বাসিন্দা। তারা হলেন- নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুন্ডু, মকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার ও ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার। এ ঘটনায় উত্তম কুমার কুন্ডু ও সোহেল আনোয়ার গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
"সর্বহারা" শিরোনামে চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'আশা করি মহান আলস্নাহর দোয়ায় ভালোই আছেন। দোতলা বাড়ি, ছেলে, বউ সব মিলিয়ে ভালো। আমরা ভালো নাই। বছরের বেশির ভাগ সময় জেলে থাকি। আর যে বাকি সময় বাহিরে থাকি, সেটুকু সময় গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করি। আপনাকে পাঁচ দিন সময় দেওয়া হলো। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে রাখবেন। তাছাড়া আপনার ছেলেকে জবাই করে মাথা পাঠিয়ে দেব আপনার বাসায়। পুলিশ কিংবা আইনের যেকোনো বাহিনী এক বছরের মধ্যে আমাদের ধরতে পারবে না। ততদিনে আপনার ছেলের গলা কাটা জবাই করা লাশ হার হয়ে যাবে। টাকা কোথায় কিভাবে দেবেন আমরা জানিয়ে দেব। (সর্বহারা)।'
সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় একটি খাম দেখতে পান। সেই খাম খুলে দেখেন সর্বহারা শিরোনামে একটি চিঠি তাকে ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে। পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার জানান, তিনি চিঠি পাওয়ার পরপরই পুলিশকে জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার জানান, তিনি ও তার পরিবার বেশ আতঙ্কিত চিঠি পাওয়ার পরে। এখনো থানায় বিষয়টি অবগত করেননি। তবে বুধবার বিকালেই অবগত করবেন বলেও জানিয়েছেন। তার কাছেও পাঁচ লাখ টাকার দাবি করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, 'সর্বহারা কোথাও নেই। হয়তো কোনো মাদকসেবীরা এই কাজ করেছে। দুইজন এসংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। আশা করছি শিগগিরই এদের চক্রকে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।'