বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পাবনায় মধুমতি ব্যাংক কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

পাবনা প্রতিনিধি
  ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পাবনায় মধুমতি ব্যাংক কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে মধুমতি ব্যাংক পিএলসি পাবনা শাখার বরখাস্তকৃত শাখা ব্যবস্থাপক জিএম হাসান শাহরিয়ারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পাবনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন। বিচারকের আদেশের কপি মঙ্গলবার সকালে হাতে পাওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, 'অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জি এম হাসান শাহরিয়ারসহ দু'জনের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ে মামলা হয়। অভিযুক্ত হাসান শাহরিয়ার বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন এমন তথ্য পাওয়া যায়। মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পাবনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। ওইদিনই আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন। তার আদেশের সার্টিফাইড কপি মঙ্গলবার হাতে পাওয়ার পর জানতে পারি।'

অভিযুক্ত জিএম হাসান শাহরিয়ার মধুমতি ব্যাংক পিএলসি পাবনা শাখার বরখাস্তকৃত সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার হাটঘাটা গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, জি এম হাসান শাহরিয়ার ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত মধুমতি ব্যাংক পাবনা শাখায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই শাখায় কর্মরত ছিলেন সাবেক প্রবেশনারি অফিসার বর্তমানে রাজশাহী শাখায় এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত জুয়েল রানা। তারা উভয়ে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৪ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকের ক্ষতিসাধন করেছেন।

যা দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলায় তদন্ত চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এর আগে মধুমতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পারে। পরে জিএম হাসান শাহরিয়ারকে বরখাস্ত ও জুয়েল রানাকে রাজশাহীতে বদলি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আর অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করতে দুদকে তথ্য দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে