রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের একদল বিশেষজ্ঞ ভিভিইআর চুলিস্নতে কম্পিউটার বিশ্লেষণ টুল ব্যবহারের মাধ্যমে পরমাণু জ্বালানির ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিন সপ্তাহের প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।
রাশিয়ার ত্রয়িতস্কে রসাটম গবেষণা ইনস্টিটিউটে রসাটম জ্বালানি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সটি পরিচালনা করেন তাত্ত্বিক পদার্থ বিদ্যা, কম্পিউটেশনাল গণিত এবং আধুনিক প্রকৌশল ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ। মঙ্গলবার বিকালে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের বিশেষ করে রিয়্যাক্টর ফুয়েল-কুল্যান্ট একটিভিটি (জঞঙচ-ঈঅ) কোড বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কোডের মাধ্যমে পরমাণু জ্বালানি রডের অখন্ডতা এবং ভিভিইআর চুলিস্নর প্রাইমারি সার্কিটে ইউরেনিয়ামের বিভাজনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন পদার্থের নির্গমন করা সম্ভব হয়। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা অস্বাভাবিক কোনো অবস্থায় পরমাণু জ্বালানির আচরণ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করেন। রসাটম গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কিরিল ইলিন বলেন, 'আন্তর্জাতিক পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ। কম্পিউটার স্টিমুলেশন টুলের ব্যবহার আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের একটি অংশ। আমাদের এই প্রোগ্রামে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল লেকচার, টেকনিক্যাল ডকুমেন্টের পর্যালোচনা এবং জ্বালানি রডের অখন্ডতা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারিক কার্যক্রম।'
রূপপুর এনপিপি'র ফুয়েল রড জ্যাকেট স্পেকট্রোমেট্রি এবং মনিটরিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শরিফুদ্দীন তার মন্তব্যে বলেন, 'আমাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণটি ছিল একটি বড় সুযোগ। প্রোগ্রামের সব লেকচার, অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়ালগুলো ছিল যথাযথ, সহজবোধ্য এবং আমাদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।'
প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা একটি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন এবং সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাদের জঞঙচ-ঈঅ ব্যবহারকারী সনদ প্রদান করা হয়।
উলেস্নখ্য, রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদু্যৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদু্যৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাক্টর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।