'কাস্টমসে দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ব্যবসায়ী'

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
চট্টগ্রাম বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক ও বন্দর ইউজার এস এম সাইফুল আলম বলেছেন, 'চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বেপরোয়া দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের শিল্প খাত, বিশেষত উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা। এ দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দুর্নীতি হচ্ছে নানা প্রক্রিয়ায়। এর একটি হল ডাটাবেজ পরীক্ষার নামে ইচ্ছামতো আমদানি পণ্যের উচ্চ শুল্ক আদায়। এ ক্ষেত্রে মানা হয় না কোনো নিয়মকানুন। যাচাই করা হয় না আমদানি পণ্যের বাজারমূল্য। শুল্কায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুর্নীতিকে জিইয়ে রাখার ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন আমদানিকারকরা। তা ছাড়া কাস্টমস কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব দেয় না। কাস্টমসে দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। কথায় কথায় লাইসেন্স বাতিল করায় ব্যবসায়ীদের সমস্যার সৃষ্টি হয়।' গত রোববার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের মেম্বার হলে কাস্টমস হাউসে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ, সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালার কালো আইন প্রত্যাহার এবং চট্টগ্রাম চেম্বারে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নের্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বন্দর ইউজার এস এম সাইফুল আলম বলেন, দেশের প্রধান এই রাজস্ব কেন্দ্রের সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্টরাও চান দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত কাস্টমস। তাই চেম্বার ও কাস্টমস হাউসের সংস্কার প্রয়োজন। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী সুলতানা ট্রেডার্সের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন মাহমুদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্যসচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী শওকত আলী। ফোরামের সদস্যসচিব শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কাস্টমসে বিদ্যমান শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালার সংশোধন ও সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। তবে সবার আগে প্রয়োজন দুর্নীতির মূলোৎপাটন। কেননা বিধিমালা সংশোধন করা হলেও দুর্নীতির সুবিধাভোগীদের অপতৎপরতা বন্ধ হবে না। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানোয় আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানান। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা আইন প্রত্যাহার করতে হবে। চট্টগ্রাম চেম্বারে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নের্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।