বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ৫ বছর

আসামিদের দ্রম্নত ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি মা রোকেয়া খাতুনের

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর। এ দিন সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের পাশে আবরারের বাড়িতে গেলে মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। আবরারের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে যন্ত্র কৌশলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আবরার ফাহাদের মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে বুয়েটে কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার বাবা বরকত উলস্নাহ ঢাকায় গেছেন। অশ্রম্নশিক্ত চোখে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, এ দিন সকালে ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিলাম। বিকালে বুয়েটে পৌঁছায়। এরপর তাকে ছাত্রলীগের ছেলেরা ডেকে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। এ সময় শোকেসের গস্নাস সরিয়ে একটি ল্যাপটপ ও দুটি মোবাইল ফোন বের করে বলেন, 'এগুলো ছেলের। যত্নে রেখেছি আজও। এবার বললেন, 'জানো বাবা আজ যদি আমার ছেলে বেঁচে থাকতো তাহলে চাকরি করতো। আরও কত কি হতো। এভাবেই স্মৃতিচারণ করতে থাকেন মা রোকেয়া খাতুন।' তিনি বলেন, 'ছেলের আম্মু আম্মু ডাক এখনো কানে বাজে। ভুলতে পারি না। কীভাবে ভুলব। এই সন্তানকে ভোলার নয়। তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা মনে হলেই শিউরে উঠি।' হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আসামিদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক রয়েছে। তাদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার এবং আসামিদের দ্রম্নত ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি জানান মা রোকেয়া খাতুন। দিবস উপলক্ষে সোমবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়ায় তার কবরস্থানে দোয়া করেন মা রোকেয়া খাতুন।