কবিরহাটে টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে বেঁধে দিঘিতে ফেলে হত্যা

ছাগলনাইয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন দুই জেলায় আরও দুই অপমৃতু্য

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
নেয়াখালীর কবিরহাটে টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে দিঘিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, ফেনীর ছাগলনাইয়াতে ছেলের হাতে বাবা খুন ও বরিশালের বাবুগঞ্জ এবং ময়মনসিংহরে ভালুকায় আরও দুইজনের অপসৃতু্য হয়েছে। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী জানান, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় টিকটক বানানোর কথা বলে এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫) উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে। সোমবার দুপুরে কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করের পুলিশ। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর তার মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়। আটক দুই কিশোর হলো- উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজিউল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সঙ্গে চলাফেরা করতে বারণ করে চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির প্রতিশোধ নিতে আরফাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আরেক বন্ধু আকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে আরাফাতকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর টিকটিক বানানোর কথা বলে ডেকে আনে আমির। এরপর কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গের দিঘীর পাড়ে নিয়ে কৌশলে তার মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে ফেলে দেয়। নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিলস্নাহ বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর এ ঘটনায় নিহতের কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ঘটনার ১১দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে। এক পর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। ফেনী প্রতিনিধি জানান, ফেনীর ছাগলনাইয়ার পূর্ব পাঠানগড় গ্রামে ছেলে ছুরিকাঘাতে বাবা মো. ইলিয়াস (৪০) মারা গেছেন। গত রোববার বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ছেলে, স্ত্রী ও পুত্রবধুকে আটক করেছে পুলিশ। ছাগলনাইয়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম সত্যতা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইলিয়াসের দুই ছেলে আসিফ ও রাকিব। তারা সিএনজি চালক। কমরুন নাহার, আসিফের স্ত্রী ও কহিনুর আক্তার নিহত ইলিয়াসের স্ত্রী। পারিবারিক বিরোধে তাকে হত্য্য করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। নিহতের খালাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, তাকে রাতেই পরিবারের লোকজন উপর্যুপরি চুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। বরিশাল অফিস ও বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার জসিম উদ্দিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে অফিস কক্ষের ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। বাবুগঞ্জ থানার পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যে সার্ভেয়ারের মরদেহ পাওয়া গেছে তার নাম জসিমউদ্দিন খান (৫০)। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে চাকরিসূত্রে বরিশালে থাকতেন। উপজেলা ভূমি অফিসের তিন তলার নিজ কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলো তার মরদেহ। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মৃতু্যর কারণ বলা যাচ্ছে না। ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার গোয়ারী গ্রামে বিদু্যতে জড়িয়ে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। নিহত ব্যক্তি কুচালিয়ারটেকের ওসমান গনির ছেলে আমানউলস্নাহ (২৮)। জানা যায়, গত রোববার আমানউলস্নাহ বাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চার্জ দিতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদু্যতের তারে জড়িয়ে পড়েন। টের পেয়ে মা হাফিজা খাতুন তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও আহত হন। পরে স্বজনরা আমানউলস্নাহকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।