গাজীপুরে বহিষ্কৃৃত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ

গাজীপুরে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক খান ও মনির খানের নেতৃত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রথমে গাছা থানায় ও পরবর্তীতে গাজীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ডের ডিস ব্যবসায়ী মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে অভিযোগ দুটি করেন। অভিযোগে ফারুক খান ও মনির খানসহ ১৩ জন এবং অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গাজীপুরের বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ফারুক খানের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী সোহেল রানার এম আর নেটওয়ার্ক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি গাছা থানা পুলিশকে জানান সোহেল রানা। গাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফারুক খান, মনির খান ও ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে নিয়ে থানায় বসে সমাধানের চেষ্টা করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সোহেল রানা থানায় আসলে পুলিশের উপস্থিতিতে ফারুক, মনির ও তাদের লোকজন তার উপর হামলা চালায়। থানা প্রাঙ্গণে সোহেল রানার কর্মচারীকে মারধর করার পাশাপাশি তাকে মেরে ফেলার হুমকি ও জোর পূর্বকভাবে সোহেল রানাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় পুলিশ সোহেল রানাকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেয়। সোহেল রানা থানায় অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় ফারুক, মনির ও তার লোকজন এম আর নেটওয়ার্কের অফিসে গিয়ে কর্মচারীকে মারধর করে ৩টি ট্রান্সমিটার লুট করেন। বিষয়টি নিয়ে পূণরায় থানায় জানালে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ দেন। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে গাজীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সোহেল রানাএতে আরও ক্ষিপ্ত হন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ফারুক খান ও মনির খান। অভিযোগের পর দিন সকালে রানার কর্মচারীর মাধ্যমে তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। নয়তো মেরে ফেলার কথা বলেন ফারুক খান ও মনির খান তার লোকজন। এ বিষয়ে সোহেল রানা নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ফারুক খানের সঙেঙ্গ যাগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। তারা সবাই আওয়ামী লীগ করতো। আমি বিএনপির বহিস্কৃত নেতা। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ।' তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফোরকান বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'