চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কমপিস্নট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি সভা ডেকেছে সিভাসু কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এ জরুরি সভা ডাকেন সিভাসুর দায়ত্বিপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট কথা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দালালির সাথে যুক্ত কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (ভিসি) হয়ে আসতে পারবে না। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন নানাভাবে নানা জায়গায় আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
শাহরিয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ২৯ বছর, যেটা বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে কীভাবে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়? আমাদের ইন্টার্নি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, আমাদের প্রবলেম বেইজড লার্নিংগুলো, শিক্ষকদের উদ্ভাবনীগুলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে; সেখানে বাইরের অপশক্তি আমাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এ বিষয়ে সরকার দ্রম্নত সিদ্ধান্ত নিবে বলে সভায় শিক্ষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জরুরি সভায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সভাপতিত্বে তার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার রাত ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়ারলেস মোড়ে রোড বস্নকেড করে তারা শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা ক্যাম্পাসের প্রায় সব কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে দেন। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে রোড বস্নক এবং অবস্থান ধর্মঘট।