রূপসার সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি
রূপসার সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান। চলাচলের ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। যে কারণে আতঙ্কে চলাচলা করে জনসাধারণ। উপজেলার প্রতিটি সড়ক, অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধভাবে তৈরি ট্রলিগাড়ি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এ যান তৈরির লাইসেন্সবিহীন কারখানা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এলাকার সর্বত্র সার্বক্ষণিক দাপিয়ে চলছে এসব বাহন। ফলে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। স্কুল ছাত্র, কলেজ ছাত্রী, শিক্ষকসহ অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়ে খেসারত দিলেও থামানো যায়নি এ অবৈধ বাহন। অপরদিকে, অনুমোদনহীন ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার ভ্যান, নছিমন-করিমনের মতো অবৈধ যানও অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ উপজেলাজুড়ে। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কে দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা ও যানজট। এসব যান চলাচলে পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে। জানা গেছে, সড়কের মোড়ে মোড়ে এবং সড়কের ওপর যত্রতত্র ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান রেখে যাত্রী ওঠানো নামানো হয়। আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে সড়ক ও মোড়গুলোতে এলোমেলোভাবে ইজিবাইক ভ্যান রাখা হচ্ছে। এর ফলে অন্য যানবাহন এমনকি পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অ্যাডভোকেট রায়হান বলেন, খুলনার মহাসড়কে বাস-ট্রাকের সঙ্গে পালস্না দিয়ে এসব অবৈধ যান চলাচল করছে। দ্রম্নতগতিতে যাওয়া এসব যানবাহন মাঝে মাঝেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সড়কে যানজট নিয়মিত হচ্ছে। তাদের দাবি সড়কে ও মোড়ে অবৈধ ইজিবাইকের পার্কিং বন্ধ ও চলাচলে যান সীমিত করলে জনদুর্ভোগ লাগব হবে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রূপসায় বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৬৬টি ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলো মাটি, বালু, ইটসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনে পুরোপুরিই ট্রাক্টর ও ট্রলির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি ভাটায় চার-পাঁচটি করে রয়েছে এমন যান। এসব ইট ভাটার ইট ও মাটি বহন করতে প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ ট্রলি চলাচল করছে উপজেলাজুড়ে। এসব গাড়ির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। নছিমন-করিমন- ইজিবাইকের মতো অবৈধ ভটভটির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সড়কে যুক্ত হয়েছে এযানটি, সবমিলিয়ে রূপসায় অবৈধ যানের ছড়াছড়ি তবুও দেখার যেন নেই কেউ। এদিকে ওই ট্রলি-গাড়ি অবৈধভাবে তৈরি অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানান উপজেলাবাসী। তবে বিষয়টি নিয়ে রূপসা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বারবার আলোচনা হলেও অজ্ঞাত কারণে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। মাঝে মধ্যে পুলিশের পক্ষ হতে লোক দেখানো অভিযান করা হলেও পরে আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান বলেন, 'বৈধভাবে যানবাহন চালাতে গাড়ির নিবন্ধন, বীমা, রুট-পারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ ছাড়া যেসব চালক এই গাড়ি চালান আমরা কিছুদিন আগেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ব্যবস্থা নিয়েছি। শিগগিরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান চালানো হবে এবং তৈরিকৃত কারখানাগুলোতে অভিযান চালানো হবে।'