মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি ৩৪তম বিসিএস উত্তীর্ণদের

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে '৩৪তম বিসিএসে কোটা বৈষম্যের শিকার ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম'-এর সংবাদ সম্মেলন -সংগৃহীত
৩৪তম বিসিএসে কোটা বৈষম্যের জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে উত্তীর্ণদের মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিত ক্যাডাররা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী হলে '৩৪তম বিসিএসে কোটা বৈষম্যের শিকার ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম'-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। ৩৪তম বিসিএসে কোটা বৈষম্যের জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে নির্বাহী আদেশে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩৪তম বিসিএসে কোটা বৈষম্যের শিকার ক্যাডার বঞ্চিত ফোরামের আহ্বায়ক ডা. মো. তফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'আমরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ক্যাডারপদ বঞ্চিত প্রার্থী। আমরা সরাসরি কোটা বৈষম্যের শিকার। পিএসসি ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রম্নয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। ৩৪তম বিসিএসের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে অংশগ্রহণ করে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এরপর ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট ৩৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সব ধাপে কৃতকার্য ৮ হাজার ৭৬৩ জন প্রার্থী থেকে পিএসসি ২ হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করে। অবশিষ্ট ৬ হাজার ৫৮৪ জন প্রার্থী কৃতকার্য হওয়ার পরেও ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি। অথচ ৩৫টি ক্যাডার পদে কোটার জন্য ৬৭২টি পদ সংরক্ষণপূর্বক শূন্য রাখা হয়। তিনি আরও বলেন, ৩৪তম বিসিএসের পূর্বের ৩৩তম এবং পরবর্তী ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে কোনো ধরনের কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি এবং কোটার শূন্য পদে উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে মেধা অনুযাযী পূরণ করা হয়। তাই ৩৪তম বিসিএস এ ক্যাডারে কোটা সংরক্ষণ করা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। এর প্রেক্ষিতে আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, পিএসসির চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্মারকলিপি প্রদান করি এবং মাঠপর্যায়ে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলমান রাখি। আমাদের আন্দোলনের ফলে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩৪তম বিসিএসের প্রাধিকার কোটায় সংরক্ষণ নীতি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ৬৭২টি শূন্য পদ ৩৫তম থেকে পূরণের আদেশ দেওয়া হয়। যা সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক, অমানবিক, বৈষম্যমূলক এবং তৎকালীন সরকারের স্বৈরাচারী চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। অথচ ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদের বিপরীতে পর্যাপ্তসংখ্যক প্রার্থী মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ রয়েছে। তাই আমরা এ বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক আদেশটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।' এ সময় নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএসে কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে বৈষম্যের শিকার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানান তিনি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম রাশেদ তমা রানি পাল, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জনি, নির্বাহী সদস্য রায়হান আহমেদ, আবু জুবায়ের ও জামিনুর রহমান।