ঝিনাইদহ সদরের ঘোড়ামারা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের মধ্যে মোজাম্মেল মোলস্না, জাহাঙ্গীর মোলস্না, পারভীনা বেগম, নাসির মিয়া, ইউসুফ, যমুনা বেগম, মাহফুজা, জাহাঙ্গীরসহ ৯ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, ঘোড়ামারা গ্রামের মোজাম্মেল মোলস্না পারিবারিক সূত্রে পাওয়া জমিতে স্বজনদের নিয়ে বসবাস করতেন। বাড়ির পাশেই তার ১০ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমির পাশে তার চাচাতো দাদা চাঁদ আলী মিয়ার ২০ শতক জমি, তার মেয়েরা ওই গ্রামেরই নাসির ও ওসমান মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। ফলে না জানিয়ে জমি বিক্রি করায় মোজাম্মেল হোসেন গত দুই বছর আগে ঝিনাইদহ আদালতে আমানতের মামলা করেন। সেই মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
কিন্তু কয়েকদিন আগে ক্রয়সূত্রে ওসমান মিয়া ও নাসির মিয়া ওই জমিতে গোয়ালঘর নির্মাণ করছিলেন। এ নিয়ে মোজাম্মেলের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। শনিবার গ্রাম্য সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে উভয়পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে নারী-পুরুষসহ আহত হন অন্তত ১২ জন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি আহত নাসির মিয়া বলেন, দুই খন্ডে বিভক্ত ২০ শতক জমি। যে ১০ শতকে মামলা নেই সেই জমিতেই গোয়ালঘর নির্মাণ করছিলাম। কিন্তু তারা অতর্কিত আমাদের উপর হামলা করে মারপিট করে।
এদিকে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ২০ শতক জমির উপরই মামলা চলছে। গ্রাম্যভাবে কথা ছিল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু এই কথা না শুনে তারা ঘর নির্মাণ শুরু করে।