খানাখন্দে বেহাল ফেনীর মহিপাল বাস টার্মিনাল

উন্নয়নের নামে কোটি টাকার দুর্নীতি

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ফেনী প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে ফেনীর মহিপাল বাস টার্মিনাল। বিগত ১০ বছর ধরে পুকুরের টার্মিনালটির এ দশা। বর্তমানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। শত শত গাড়ি রাখার জন্য এটি নির্মাণ করা হলেও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় গাড়িগুলো মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে। এই যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আশির দশকের দিকে সাবেক এরশাদ সরকারের আমলে, মৎস্য বিভাগের জায়গায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এখানে টার্মিনাল করার অনুমতি দেয়। প্রায় দেড় শতক জায়গায় এটি নির্মাণ করা হয়, যেখানে কয়েকশ' গাড়ি একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফেনী পৌরসভা এটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করে। তারা প্রতি বছর ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করছে। অথচ সংস্কার ও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয় না। বিগত ২০ বছর ধরে মহিপাল বাস টার্মিনালে কোনো প্রকার উন্নয়ন করা হয়নি বলে জানান বাস-ট্রাক মালিকরা। ২০২২ সালের দিকে ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুল হক গণমাধ্যমকে খুব দ্রম্নত সময়ে মেরামতের আশ্বাস দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান। আজ পর্যন্ত একটি ইটও পড়েনি টার্মিনাল। গোপন টেন্ডারের বিষয়ে দুদকের তদন্তের দাবি করেন নেতারা। মালিক ও শ্রমিক গ্রম্নপের নেতারা জানান, প্রতি বছর ৩০ লাখ টাকা ইজারা দিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন গডফাদাররা। পরিবহণ শ্রমিক ও চালকরা বলেন, টার্মিনালের পরিবেশ ভালো নয়। বিগত দশ বছরে কোনো গাড়ি টার্মিনালে রাখলে বের করা কঠিন। গাড়ি বিকল হয়ে গেলে ক্রেন দিয়ে ওঠাতে হয়। খানাখন্দে ডোবানালা, ময়লা-আবর্জনা ও কাদাপানিতে তলিয়ে আছে এ টার্মিনাল। ফেনী পৌরসভার সচিব সৈয়দ মো. আবুজর গিফারী বলেন, ফেনীর মহীপাল বাস টার্মিনালের সমস্যা নিয়ে অবগত আছেন। জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সংস্কার করা যাচ্ছে না। জায়গার মালিকানার সমস্যার কারণে কোনো বরাদ্দ দেওয়া বা অনুদান দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগের ফেনীর উপ-পরিচালক (ডিডিএলজিডি) ও পৌর প্রশাসক আব্দুল বাতেন বলেন, যানজট নিরসন ও বাস টার্মিনাল বিষয়ে দ্রম্নত সময়ে মেরামতসহ চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা টার্মিনালের জন্য জায়গা খুঁজছেন।