মৎসজীবী জেলেদের উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার বলেছেন, 'ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আপনারা দয়া করে মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকুন। ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ইলিশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এ সময় যদি ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন কয়েক গুন বেড়ে যাবে।'
শনিবার দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে জেলা মৎস অধিদপ্তরে আয়োজনে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি নৌপথে শরীয়তপুরের কাঁচিকাটা এবং পদ্মা মেঘনার মোহনায় ইলিশের প্রজনন এলাকা ঘুরে দেখেন। এরপর সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে স্থানীয় জেলে, আড়াতদার, বেপারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করেন।
সভায় তিনি বলেন, প্রজননের প্রধান মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। আপনারা এ কদিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলেই আমাদের ইলিশ উৎপাদন কয়েকগুন বেড়ে যাবে।
উপদেষ্টা বলেন, 'ইলিশের উৎপাদনে আমাদের দেশে কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনে খেতে পারে না। ইলিশের দাম কিভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করব।'
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিলস্নুর রহমান, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. হাদিউজ্জামান প্রমুখ।