৯ বছর ধরে আটকে আছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর স্নাতকের ফলাফল চবি শিক্ষকের অবহেলার অভিযোগ
প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নির্মল কুমার সাহার গাফিলতির কারণে ৯ বছর আটকে আছে বিভাগটির দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোলাইমান বাদশার স্নাতকের ফলাফল। অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ফল যোগ না করায় এই দীর্ঘসূত্রতা হয়েছে বলে দাবি করেন এ শিক্ষার্থী।
শুক্রবার চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্য সোলাইমান বাদশার পক্ষে পড়েন আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবু শাহেদ বলেন, '১৮তম ব্যাচের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি কিন্তু একটা বিষয়ে অকৃতকার্য হই। ফলে ২০১৫ সালে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে সব বিষয়ে পাস করি। আমার চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখি আমি নাকি ক্লাস টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় ফেল করেছি। সব টিউটোরিয়াল পরীক্ষা দেওয়ার পর ফেল দেখানো হয়েছে। তারপর বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা স্যারের কাছে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় বসার অনুমতির জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্যার আমাকে অনুমতি দেননি।
এরপর ২০১৭ সালে এবিএম আবু নোমান স্যার আইন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়। আমি নোমান স্যারের কাছে গিয়ে আমার বিষয়টা বুঝিয়ে বলি তখন স্যার আমাকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন। আমি পুনরায় টিউটোরিয়াল পরীক্ষা দিয়ে পাস করলাম। এরপর তৎকালীন পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা স্যারকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ফল যোগ করে অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে অনুরোধ করলাম।
তিনি বললেন, প্রকাশ করব, অপেক্ষা কর। কিন্তু সেই ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়নি। এখন আমার বয়স প্রায় ৩৫ বছর। পাস করার পরও অনার্সের রেজাল্ট প্রকাশ না করার কারণে আমি কোনো সরকারি বা বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নির্মল কুমার সাহা বলেন, 'আমরা তাকে স্পেশাল সুযোগের মাধ্যমে অনেকবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি কিন্তু সে বারবার ফেইল করেছে। আমরা আন্তরিক বলেই তাকে এই সুযোগগুলো দিয়েছি। সে বলছে, ২০১৫ সালে পাস করেছে। এটা আসলে সত্য নয়। আমি ইচ্ছে করে তার ফলাফল আটকে রাখিনি। তিনজন শিক্ষক টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ফলাফল না দেওয়ায় তার চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারছি না।'