দুই জেলায় ২ অপমৃতু্য
ঝালকাঠিতে আ'লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জে বাড়ি ধসে এক রাজমিস্ত্রির মৃতু্য হয়েছে। অপরদিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁঠালিয়া-ভান্ডারিয়া সীমান্তের ফকির বাড়ির ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃতু্য হয় তার।
নিহত জাফর আলী খান আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর চড়াইল গ্রামের মুনসুর আলী খানের ছেলে।
ভান্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে।
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জে বাড়ির ছাদ ঢালাই নির্মাণ কাজ করার সময় ছাদ ধসে হারুন-অর রশিদ (৫৫) নামের রাজমিস্ত্রির মর্মান্তিকভাবে মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের গণেশপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত জামান সরকারের বাড়ির ছাদ ঢালাই নির্মাণ কাজ করার সময় ছাদ ধসে দেউলী ইউনিয়নের লক্ষ্ণীকোলা গ্রামের আ. ছাত্তারের ছেলে রাজমিস্ত্রি হারুন-অর রশিদ ঘটনাস্থলেই মৃতু্যবরণ করেন।
এ ব্যাপারে রাজমিস্ত্রির বড় ভাই আবু তাহের বলেন, 'আমার ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ রাজমিস্ত্রি কাজের সঙ্গে জড়িত। হঠাৎ করে ছাদ ধসে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।' এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান বলেন, 'এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তমা আক্তার (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামের বেজাইত্তে পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বাঁশাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল তমা আক্তার। তার বাবার নাম গিয়াস উদ্দিন। তমা আক্তার রং পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসত। স্কুলে সেই রং পেন্সিলগুলো ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বাড়িতে গিয়ে আবদার করে কিনে দেওয়ার জন্য। কিনে দিতে দেরি হওয়ায় রাগে-অভিমানে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
বাঁশাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কাজিম উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, তমা আক্তার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। অভিমানে সে ভুল পথ বেছে নিল।
তমার বড় ভাই মেহেদী হাসান কান্না ঝরা কণ্ঠে বলেন, 'আমার খুব আদরের ছিল। বুঝতেই পারিনি এভাবে সে চলে যাবে।'
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন মিয়া মুঠোফোনে বলেন, 'শুনেছি আসরের পর সে নিজের রুমে ঘুমাতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা হলেও দরজা খুলে বেরিয়ে না আসায় পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তাকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ এসে গলায় দাগ পেয়েছে এবং থানায় নিয়ে যায়।'
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।