গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা মধ্যপাড়া এলাকায় আবু সাইদ নামের এক পোশাক শ্রমিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই এলাকার একটি সেলুন থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পোশাক শ্রমিক নাম আবু সাঈদ (২৪) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাওনা এলাকার বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের এশিয়া কম্পোজিট কারখানা সংলগ্ন মেঘনা গেটের সামনে কতিপয় দুষ্কৃতকারী এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে হত্যা করেছে- এমন সংবাদে একটি সেলুনের ভেতর তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেলুন মালিক ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আবু সাইদের বাড়ির মালিক বাবুল সরকার বলেন, '২ মাস আগে আমাদের বাসার একটি রুম ভাড়া নিয়ে একাই থাকতো আবু সাইদ। সে অবিবাহিত ছিল। সেলুনের মালিক খলিলের বাড়িতে একসঙ্গে খাবার খেতো।'
খলিলের দেয়া সেলুনের ভবনের মালিক রায়হান বলেন, 'আমার বাবা মারা যাওয়ার এক দিন আগে ওই রুম ভাড়া নিয়ে মাত্র ১৫ দিন আগে সেলুনের ব্যবসা শুরু করেন খলিল। সে স্ত্রীসহ স্থানীয় ইব্রাহিম শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার স্ত্রী ডেকো কারখানায় চাকরি করতেন। খলিলই আবু সাইদকে শ্রীপুরে এনেছিলেন। খলিলের স্ত্রী খাবার রান্না করতেন। তারা দুইজন একসঙ্গে সেই খাবার খেলেও আলাদা বাসায় থাকতেন। তাদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা, তা জানা নেই।'
স্থানীয় আলম মিয়া বলেন, 'খলিলের বাসায় খাবার খাওয়ার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে একটা সম্পর্কের কথা শুনেছি। কিন্তু সেটা কতটুকু সত্য, সে সম্পর্কে আমার জানা নেই। পুলিশ তদন্তের পর আমরা আরও জানতে পারব।'
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেলুন মালিকের সঙ্গে আবু সাঈদের পূর্ব শত্রম্নতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, একজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে কে জড়িত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।