আজকের যায়যায়দিন

সিলেটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হজরত আলী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃতু্যদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গোদাগাওয়ের রওশন আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩১), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের তাইকাপন এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২৯), একই উপজেলার বুরুমপুর গ্রামের ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (২৯), একই এলাকার হাজী মাসুদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্না (৩০) ও হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহুল আমিন (৩০)। দন্ডপ্রাপ্তরা পলাতক রয়েছেন।

আদালতের পিপি আব্দুস ছাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের মঙ্গলকাটা বাজারের জাহাঙ্গীর নগর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হজরত আলী। তিনি সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমা আলমপুর এলাকায় খালেদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে নুরুল ইসলামের অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আসামিরা সিলেটের বিয়ানীবাজার যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেয় অটোরিকশা। পথে ছুরিকাঘাত করে চালককে ফেলে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে হজরত আলী মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুকুর আলী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন।

পাইকগাছায় শিবসা নদী এখন গোচারণ ভূমি

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) বাছিত মিয়া।

মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ২৪ জন সাক্ষীর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।

মামলায় বাদী পক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকট জায়েদা বেগম এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকট হাসান আহমদ।