চরমোনাই পীরের অভিযোগ
দুইবারের বাজেটের সমান টাকা পাচার করেছে আ'লীগ সরকার
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১৪ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। যা এ দেশের দুইবারের বাজেটের সমান। এ টাকা দিয়ে যদি ফ্যাক্টরি করা হতো, কিংবা গরিব-দুঃখীদের বিলিয়ে দেওয়া হতো- তবে দেশের অর্থনীতির বিরাট একটা পরিবর্তন আসত। দেশে একজনও গরিব থাকত না।'
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শায়েখ চরমোনাই বলেন, 'গেল ৫ই আগস্ট' এর আগে যে সরকার ছিল, তারা বৈষম্য দূর করতে পারেনি। ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এতে আমরা সাধারণ জনগণ ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছি। আওয়ামী লীগ নেতারা পাহাড়সম সম্পদ গড়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা কানাডায় বেগমপাড়া, আমেরিকা ও ইউরোপে ঘর-বাড়ি বানিয়েছেন। আর আমাদের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন। তাদের কারণে আমাদের নিরীহ মানুষ জেলের কুটুরিতে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছেন।'
মুফতি ফয়জুল করীম পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, 'আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক, যুবলীগের এক সভাপতি সিঙ্গাপুরে কেসিনোতে ২০০ কোটি টাকা হারিয়েছে। এটার জন্য তাদের কোনো আফসোস হয় না। উল্টো আরও সরকারকে প্রটেকশন দেয় ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিডিআরের সদস্যরা। কিন্তু জনগণকে কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। জনগণের নিরাপত্তার জন্য আইন চাই। খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান চাই।'
দেশের চলমান অর্থনীতির কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'আজকের যে অর্থনীতি রয়েছে, এতে দেশের গরিব, গরিবই রয়ে গেছেন। ধনী চারবার ধনী হয়, আর একজন গরিবের ওপর পাঁচটি লাথি পড়ে। এরকম অর্থনীতি চলতে থাকলে কিয়ামতের আগে কোনো গরিব ধনী হতে পারবে না। ইসলামী অর্থনীতি মেনে চললে অচিরেই গরিব বিত্তশালী হবেন।'
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা সভাপতি মাওলানা আব্দুর কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোলায়মান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর, মাওলানা জুবায়ের আহমদ জুবেল প্রমুখ।