অধ্যাপক ছাড়াই চলছে নোবিপ্রবির ১৫ বিভাগ ও দুই ইনস্টিটিউট

প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
অধ্যাপক ছাড়াই চলছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৫টি বিভাগ ও দুইটি ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম। শুধু একজন অধ্যাপক দিয়ে চলছে ৮ বিভাগের কার্যক্রম। এদিকে দুই ইনস্টিটিউটের একটিতে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক এবং বাকি এক ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে একজন সহযোগী অধ্যাপক। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকনিয়োগ দেওয়া হলেও অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে অভিজ্ঞ শিক্ষকের কৌশলী পাঠদান, ভালো মানের গবেষণা শেখাসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট বিভাগ আছে ৩১টি ও ইনস্টিটিউট আছে দুইটি। এর মধ্যে ১৬ বিভাগে অধ্যাপক রয়েছেন ৩৬ জন। সিএসটিই বিভাগে ৪ জন, অ্যাপস্নাইড ক্যামিস্ট্রি বিভাগে তিনজন, ফিমস বিভাগে ৮ জন, ফার্মেসি বিভাগে পাঁচজন, ইইই বিভাগে দুইজন, কৃষি বিভাগে দুইজন, ডিবিএ বিভাগে দুইজন ও বাংলা বিভাগে দুইজন অধ্যাপক রয়েছেন। এছাড়াও একজন করে অধ্যাপক আছে আইসিই, মাইক্রোবায়োলজি, ইএসডিএম, ক্যামিস্ট্রি, অ্যাপস্নাইড ম্যাথ, বিএমএস, সমাজবিজ্ঞান ও শিক্ষা বিভাগে। কিন্তু বিভিন্ন বিভাগীয় সূত্র জানায়, ৩৬অধ্যাপকের মধ্যে আবার শিক্ষা ছুটিতে আছেন দুইজন। এদিকে অধ্যাপক ছাড়াই চলছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইংরেজি, অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান, এফটিএনএস, বিজিই, সমুদ্রবিজ্ঞান, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি, প্রাণিবিদ্যা, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, পদার্থ বিভাগ ব্যবসায় অনুষদ, টিএইচএম ও এমআইএস বিভাগে অধ্যাপক নেই। এছাড়াও আইন অনুষদের আইন বিভাগ ও শিক্ষাবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে অধ্যাপক শূন্য। নিজস্ব অধ্যাপক না থাকায় ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সেসে ফার্মেসি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালকের দায়িত্বে অ্যাপস্নাইড ম্যাথ বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা একেবারেই কম এবং অনেক বিভাগেই অধ্যাপক নেই, বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে অধ্যাপকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।আমি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।'