চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রম্নপের মালিকানাধীন কয়লা বিদু্যৎ কেন্দ্রে সাবেক সেনা অফিসারসহ জোড়া খুনের ঘটনায় হামিদুর রহমান প্রকাশ কালু (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা এলাকার বোনের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হামিদুর রহমান প্রকাশ কালু উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, 'হামিদুর রহমান স্থানীয় চোরচক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। কয়লা বিদু্যৎ কেন্দ্রে প্রকাশ্যে চুরিসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে বেড়াতেন। এরই ধারাবাহিকতায় কয়লা বিদু্যৎকেন্দ্রে চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লে সহকারী সিকিউরিটি ইনচার্জ সাবেক সেনা সদস্য সারওয়ার আলম ও সিকিউরিটি গার্ড রাশেদ জোয়ারদারকে ছুরিকাঘাত করে চোর চক্রের সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে তিনটার সময় বিদু্যৎ কেন্দ্রের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সারওয়ার আলম সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর এসএস পাওয়ার পস্ন্যান্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী ফয়েজুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার চিহ্নিত আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক যায়যায়দিনে 'সাবেক সেনা সদস্য হত্যা: ২৮ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি চিহ্নিত আসামিরা' শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়। এরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানা এলাকার বোনের বাসা থেকে হত্যাকান্ডের মূলহোতা কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পলাতক বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।