বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাবির ২৯৪ শিক্ষক

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

রাবি প্রতিনিধি
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৯৪ জন শিক্ষকের নাম এসেছে। এ বছর দেশের ২১৮টি সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৭৫৬ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ২০২৫ সালের বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত একটি তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। র?্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ২২০টি দেশের ২৪ হাজার ৩৬১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭টি সাবজেক্টের ওপর ২৪ লাখ ১৫৫ জন গবেষক ও বিজ্ঞানী স্থান পেয়েছেন। র?্যাঙ্কিং তালিকার 'এইচ' ইনডেক্স সূত্রে, দেশীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গত বছর থেকে এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নতি হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান চতুর্থ যা গত বছরে ছিল সপ্তম এবং ২০২৩ সালে ছিল দশম। বিশ্বে দুই হাজর ২৯৪তম যা গত বছরে ছিল তিন হাজার ৯১২তম এবং ২০২৩ সালে ছিল চার হাজার ২৯৮তম। অর্থাৎ ক্রমাগতভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নতি হয়েছে। গত কয়েক বছরের মতো এ বছরের তালিকায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে রাবির সর্বোচ্চ র?্যাঙ্কে অবস্থান করছেন। তাঁর সাইটেশন সংখ্যা আট হাজার ৩৭৩। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র?্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্‌ হাসান নকীব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ইয়ামিন হোসাইন (ফিসারিজ বিভাগ), অবসারপ্রাপ্ত অধ্যাপক এ কে এম আজহারুল ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান (বোটানি বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ), অধ্যাপক মির্জা হুমায়ুন কবির রুবেল (ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), অধ্যাপক জাকের হোসাইন (ইইই বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (বোটানি বিভাগ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, 'আমি মনে করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। আমাদের আরও অনেক ভালো করতে হবে এবং সেই সুযোগ আমাদের আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক গবেষকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শিগগিরই গবেষকদের নিয়ে আমরা বসব এবং কীভাবে আরও ভালো করা যায় সে পরিকল্পনা করব।'