পলাশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির প্রতি
প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজের দুই শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য হয়ে বই পড়ছে। বইপড়া আর নানা প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করে বই পুরস্কার পাচ্ছে তারা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পলাশে আসে প্রতি রোববার। পলাশের সেন্ট্রাল কলেজে শিক্ষার্থীদের বইপড়া ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
লাইব্রেরি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, নরসিংদী জেলার কলেজপর্যায়ে বেশি সদস্য পলাশ থানা সেন্ট্রাল কলেজে।
সরেজমিন কলেজে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি রোববার বই লেনদেনের সময় কলেজের অধ্যক্ষ আমীর হোসাইন গাজী উপস্থিত থেকে বইপড়ার খোঁজখবর রাখছেন। ইন্টারনেট আসক্তির এ সময়ে এত বেশি শিক্ষার্থী কেন বই পড়ার সদস্য হলো এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে অধ্যক্ষ বলেন, 'আমরা নৈতিক শিক্ষা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী করে গড়ে তুলেছি। জ্ঞান আর কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে নাগরিক হতে গেলে বই পড়ার বিকল্প নেই। এ জন্যই বই পড়ার উৎসাহিত করছি। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে সদস্য হতে হলে মাসিক চাঁদা দশ টাকা আর জামানত একশ'-দুইশ' টাকা জমা দিতে হয়। সদস্যরা পছন্দের বই বাড়িতে নিয়ে যায়। পরের সপ্তাহে জমা দিয়ে নতুন বই নিতে পারে। রোববার কলেজে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির গাড়ি আসা মাত্রই শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায় নতুন বই সংগ্রহ ও পুরাতন বই জমা দিতে। গাড়ির চারপাশে শিক্ষার্থীরা বসে পড়ে বই নিয়ে।
বই পড়ুয়া মানবিক শাখার শিক্ষার্থী সামির কবির মৃধা জানায়, সে পঞ্চম শ্রেণি থেকে বই পড়ে। বই পড়ে জ্ঞান আর আনন্দ পাওয়া যায়। এসব বই পড়লে পাঠ্যপুস্তক পড়ার আগ্রহ আরও বাড়ে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পলাশ শাখার সংগঠক অধ্যাপক শহিদুল হক সুমন বলেন, 'এখন আর কেন্দ্র বা শাখা ভিত্তিক বই পড়ানো হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে সদস্য করিয়ে আমরা বই পড়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি। স্কুল-কলেজে শাখাভিত্তিক বইপড়ালে আরও বেশি কার্যকর হয়। শিক্ষার্থীদের আগ্রহও বাড়ে। বেশি বেশি পাঠচক্র ও অনুষ্ঠান হলে পড়ার গতিও বাড়ে, শিশু-কিশোরদেরও বইয়ের টান বাড়ে।