বাঞ্ছারামপুরে বৃদ্ধকে হত্যার পর ১১ টুকরা করে ট্যাংকিতে ফেললো স্ত্রী-কন্যা

পারিবারিক কলহের জের

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সম্পত্তি ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে অরুন মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার পর তার লাশ ৯ টুকরো করে পাশের বাড়ির ট্যাংকিতে ফেলে দেয় স্ত্রী ও কন্যা। এ ঘটনায় নিহত অরুনের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও কন্যা লাকি আক্তারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফরদাবাদ গ্রাম থেকে ৯টি পলিথিনে ভরা মরদেহের ১১ টুকরা উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন এ তথ্য জানান। গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিখোঁজ হন অরুন মিয়া। হত্যার চার দিন পর মঙ্গলবার রাতে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে অরুনের লাশের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি শাবল ও একটি চাপাতি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্ত্রী মোমেনা ও মেয়ে লাকীকে গ্রেপ্তার করে। নিহত অরুন মিয়া ওই গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। হত্যার ঘটনায় নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎ মা মোমেনা বেগম ও সৎ বোন লাকি আক্তারকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসাইন জানান, পারিবারিক বিষয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনার সঙ্গে অরুণ মিয়ার বিরোধ চলছিল। এরই জেরে মোমেনা বেগম স্বামী অরুন মিয়াকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মৃতু্য হয়। পরে মোমেনা মেয়ে লাকিকে নিয়ে টাকশাল দিয়ে লাশ ১১ টুরো করে ৯টি পলিথিনে ভরে পাশের বাড়ির মনির মিয়ার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে সেফটিক ট্যাংকি থেকে গন্ধ বের হওয়ায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা ট্যাংকি খুলে পলিথিনগুলো দেখে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পলিথিনগুলো উদ্ধার করে। পরে তার ছেলে রুবেল গিয়ে অরুন মিয়ার লাশ সনাক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোমেনা ও লাকী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।