বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা

স্বদেশ ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যশোরে চন্ডিপাঠ ও আগমনী গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা -যাযাদি

নানা আয়োজনে বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে সনাতনীদের শারদীয়া দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর জানান, চন্ডীপাঠ ও আগমনী গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যশোরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের পৌরপার্কে সনাতন ধর্ম সংঘের আয়োজনে মহালয়া উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন ও উলুধ্বনির মাধ্যমে মহালয়ার সূচনা হয়। এরপর মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা অর্চনা করা হয়। ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চন্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচন্ডী অর্চনা করেন ভক্তরা। এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পিতৃ তর্পণের মাধ্যমে দেবীপক্ষকে আবাহন করেন।

সনাতন ধর্মসংঘ যশোরের নেতা গোপীনাথ বলেন, শারদীয় উৎসব ছড়িয়ে দিতে মহালয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ থেকেই শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হয়েছে। এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। এছাড়া যশোর কালেক্টরেট পুকুরপাড়, বেজপাড়াতেও আয়োজনে মহালয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আসন্ন সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব মহালয়ার এবং চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু। এবার হিন্দু শাস্ত্রীয় মতে দেবী দোলায় আগমন আর ঘোটকে গমন করবে। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬১টি মন্ডবে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গোৎসব।

পৌর এলাকায় ৭টি মন্ডবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই প্রতিমা শিল্পীরা সারা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। পূজার আনন্দে মেঠে উঠেছে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সের ছেলেমেয়েরা। বিপণি বিতানে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা।

এদিকে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে সেজন্য নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে প্রশাসন তাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমূল্য চন্দ্র আর্য্য জানান, 'আমাদের সব প্রস্ততি প্রায় শেষ। প্রশাসন থেকেও নিশ্চয়তা পেয়েছি নিরাপত্তার বিষয়ে।'

ঘাটাইল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, 'সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে তাদের ধর্মীয় উৎসব কোনো প্রকার বাধাহীনভাবে পালন করতে পারে সে বিষয়ে নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা সর্বদাই সচেষ্ট থাকব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে