বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

মহামায়া লেকের কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামের মিরসরাইলে বৃহত্তম মহামায়া লেকের কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে অপসারণ করেন 'বিডিক্লিন'র সদস্যরা -যাযাদি

প্রাকৃতিম নৈস্বর্গে ঘেরা ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মহামায়া লেকের নীল জলরাশি ঢেকে গেছে কচুরিপানা আর ময়লা-আবর্জনায়। প্রায় দুমাস ধরে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় লেকের বেশিরভাগ অংশ কচুরিপানায় ছেয়ে যায়। এখানে নিয়োজিত সরকারের বনবিভাগ কিংবা ঠিকাদার এটির পরিষ্কারের দায়িত্ব না নিলেও স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করছে বিডিক্লিন মিরসরাই নামে একটি সংগঠন।

বুধবার সকাল থেকে সংগঠনটির ২০ থেকে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক লেকে নেমে কচুরিপানা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেন। এ সময় লেক এলাকায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) হারুন উর রশিদ ও মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেন শাহ্‌ নওশাদ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিন মিরসরাইয়ের সমন্বয়ক মো. নুরের নবী জানান, গেছে বন্যা এবং বেশ কিছুদিন ধরে লেক এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় লেকের অধিকাংশ এলাকা কচুরিপানা এবং ময়লায় ভরে গেছে। বিশেষ করে এ সময় লেকে ডিঙ্গি নৌকাসহ অন্য জলযান না চলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বনবিভাগের আওতায় থাকা এ লেকটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর লেক এবং এটির সৌন্দর্য সারদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। তারা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে এটি পরিষ্কার করছেন। এখানে তাদের ২০ থেকে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম-উত্তর বনবিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ এলাকায় পাহাড়ি বারোমাসি ঝরনায় কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় মহামায়া সেচ প্রকল্প। এতে তৈরি হয় ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক। যা আয়তনের দিকদিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর। এরপর এটিকে সরকারের বনবিভাগ বোটানিক্যাল গার্টেন ও ইকোপার্কে রূপান্তর করে। পরে এটি বাণিজ্যিকরণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে