নরসিংদীর মাধবদীতে জোরপূর্বক জমি দখল নিতে মারধরের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জুলফিকার আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নওপাড়া গ্রামে। ওই মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে মারধরের ১০৭ ধারার অভিযোগ এনে একই পরিবারের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, 'সাজানো একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে জুলফিকার। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।'
সরেজমিনে, মামলার বাদী জুলফিকার আলীর বাড়িতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। কথা হয় জুলফিকারের চাচাত ভাবী রোজিনা আক্তার, মহিলা মেম্বার সেলিনা আক্তারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে। তারা জানান, 'জমি নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি, কিন্তু কোনো মারামারি হতে দেখিনি।'
মামলায় হয়রানির শিকার ডা. ফজলুল হক, ডা. সামসুল হক, মো. শামিমুল হক শামিম ও মো. সানিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ করে আসছেন জুলফিকার। এ বিষয়ে আদালতে সামসুল হক গং জুলফিকার আলী গংয়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন জমির রেকর্ড সংশোধনীর জন্য মামলা করে। যার মামলা নং ১৬৮। এতে ফজলুল হক ও সামসুল হক গংদের উপর ক্ষেপে যায় জুলফিকার। আইনের আশ্রয় নিয়েও কিছু করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১০৭ ধারার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এদিকে জুলফিকারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।