শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

যশোরের আলোচিত শিশু তাসনিমা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার যশোর
  ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যশোরের আলোচিত শিশু তাসনিমা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

যশোরের বাঘারপাড়ার আলোচিত সাড়ে পাঁচ বছর বয়সি শিশু তাসনিমা খাতুন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত রোববার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে তহিদুর রহমান (৫৫), তহিদুর রহমানের স্ত্রী নিরু বেগম (৪২) এবং তাদের মেয়ে ইশিতা আক্তার ঋতু (১৯)। পিবিআই জানিয়েছে, তরুণী ইশিতা আক্তার ঋতুর বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে শিশু তাসনিমাকে। শিশু তাসনিমা দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের রজিবুল ইসলামের মেয়ে।

পিবিআই ও পুলিশ জানায়, গত ২০ জুলাই যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়ির পাশে খেলার সময় নিখোঁজ হয় পাঁচ বছর ছয় মাস বয়সি শিশু তাসনিমা খাতুন। পরদিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা। পানিতে ডুবে মৃতু্য হয়েছে ভেবে স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত করতে চাননি। তবে শিশুটির ঠোঁটে ছোট দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। প্রায় দুই মাস পর ১৫ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থানায় আসে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

বাঘারপাড়া থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, নিহত শিশুটির ঠোটে ছোট একটি দাগ ছিল। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় দাগটি পুলিশের নজরে আসে। সন্দেহ হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটিকে যৌন নিপীড়নের পর গলা, নাক ও মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উলেস্নখ করা হয়েছে।

পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, শিশু তাসনিয়া গত ২০ জুলাই সকালে ঋতুদের বাড়িতে আসে। ঋতু শিশুটিকে তার রুমে নিয়ে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন চালায়। আঘাতের কারণে শিশুটি চিৎকার করলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। একপর্যায়ে ঋতু ঘরে থাকা শাবল দিয়ে তাসনিয়ার মাথায় আঘাত করে। তারপরও গোঙ্গাতে থাকায় তাকে গলাচেপে হত্যা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি ঋতুর বাবা তহিদুর রহমান ও মা নিরু বেগম জানার পর তারা মৃতদেহ প্রথমে বাক্সের মধ্যে লেপ পেঁচিয়ে রাখে। এরপর ২১ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে রাজ্জাক খাঁর পুকুরে ফেলে দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে