শারদীয় দুর্গোৎসব
দুমকিতে ১১ মন্ডপে রং তুলিতে ব্যস্ত কারিগররা
প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ১১টি পূজা মন্ডপে শেষ সময়ের প্রতিমায় রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সব পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রম্নত গতিতে এগিয়ে চলছে। মাটির কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন চলছে রং-তুলির কাজ। এছাড়াও তোরণ নির্মাণ, প্যান্ডেল তৈরি, সাউন্ড ও আলোকসজ্জার কাজ চলছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুমকিতে মোট ১১টি সার্বজনীন পূজা মন্দির থাকলেও এ বছর ৯টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজার আয়োজন করেছে। বাকি দুটি অর্থের অভাবে স্থগিত রয়েছে। এ বছর মুরাদিয়া ইউনিয়নে সর্বাধিক পাঁচটি মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এগুলো হলো- উত্তর মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, মুরাদিয়া বটতলা সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, মধ্য মুরাদিয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গামন্দির, দক্ষিণ মুরাদিয়া শ্রী শ্রী নবজাগরণ দুর্গামন্দির ও মুরাদিয়া পাইন বাড়ি সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির।
এছাড়া শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকি নতুন বাজার সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরি কেন্দ্রীয় মন্দির, পশ্চিম আঙ্গারিয়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, দক্ষিণ জলিশা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, লেবুখালী শ্রী শ্রী হরি মন্দির, দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া শ্রী শ্রী জয় গুরু মন্দিরে চলছে শেষ সময়ে প্রতিমায় রং-তুলি ও সাজসজ্জার কাজ।
প্রতিমার কারিগর পঙ্কজ পাল জানান, এ বছর পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। চলমান পরিস্থিতিতে বাজার মন্দার কারণে প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫-৫৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন।
আরেক কারিগর শিশির পাল বলেন, এ বছর প্রতিমা তৈরির মালামালের মূল্য বৃদ্ধি ও শ্রমিক সংকটের কারণে আগের চেয়ে মজুরিও বেশি। তারপরও প্রায় ৮০-৮৫ হাজার টাকা মজুরির বিনিময়ে কাজ করছেন।
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির বিষয়ে উত্তর মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার দাস বাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি আনন্দ মোহন দাস বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালিত হবে। দেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনিক আশ্বাস আছে।
দুমকি ইউএনও শাহীন মাহমুদ বলেন, পূজা উদযাপন কমিটির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে গত সপ্তাহে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। এ বছর পূজামন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট ও কোস্টগার্ডের টহল দায়িত্বে থাকবে।