গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনায় নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারসহ ৩১ জনের নাম উলেস্নখ করে আদালতে মামলা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ রোববার মামলাটি দাখিল করেন ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম। মামলায় ডোমার উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ও সরকার ফারহানা আকতার সুমি, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন উলেস্নখযোগ্যদের তালিকায় রয়েছেন।
এতে অভিযোগ করা হয়- ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রচারণা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চিলাহাটির দিকে রওনা হলে জোড়াবাড়ি এলাকায় হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আফতাব উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা। এ সময় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন অন্তত ৬০ জন বিএনপির নেতাকর্মী।
ডোমার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন সুমন জানান, ঘটনাস্থলে চারটি কার ভস্মীভূত ও ২২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
তিনি বলেন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা রহমানের স্বামী এবং নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ডোমার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও ৩শ' জনকে আসামি করা হয়েছে।