আমেনা বেগম নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনী বাড়ি ২নং ওয়ার্ল্ডে বাসিন্দা। দিনমজুর স্বামীসহ দুই ছেলে ও এক মেয়ের সংসার।
বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনে যুক্ত হওয়ার আগে আমাদের বিকল্প কোনো আয়ের উৎস ছিল না। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমার স্বামী যা আয় করতেন তা দিয়েই কোনোভাবে কষ্টে জীবনযাপন করতেন। এমন অবস্থায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের ইউপিজি দলের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
আমিনা বেগম জানান, গাভী পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। কিছু দিন পর একটি বকনা গরু পাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেশনের মাধ্যমে জানতে পারি, কীভাবে বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করা যায়। তাই প্রথমে আমি সঞ্চয় করতে লাগলাম।
তারপর সেই জমাকৃত টাকা দিয়ে একটি ছাগল, একটি মুরগি, একজোড়া হাঁস ও কবুতর ক্রয় করি। ধীরে ধীরে সেই সম্পদগুলো আমার বাড়তে থাকে। বর্তমানে আমার চারটি গরু, চারটি ছাগল, ১০টি মুরগি, ১১টি হাঁস ও ৩০টি কবুতর আছে। এগুলো দেখাশোনার পাশাপাশি বাড়ির আশপাশে সবজি চাষ করি। কিছু নিজে খাই আর কিছু বিক্রি করি।
এভাবে প্রতি মাস শেষে তিন হাজার টাকা দিয়ে আমার স্বামীকে সহযোগিতা করি। আমার স্বামী ওয়ার্ল্ড ভিশন হতে জিংক ধানের প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। জিংক ধান চাষের মাধ্যমে, জিংক ধানের উপকারিতা আমার এলাকার মানুষও জানতে পারে। বর্তমানে গ্রামের অনেকেই এখন জিংক ধান চাষ করছে।'