তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন জেলায় সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। এ মধ্যে গোপালগঞ্জে ১০, ফরিদপুরের সালথায় ২৫ ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১৫ জন আহত হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গাপালগঞ্জে রাস্তায় ছাগল বাঁধাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাগাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানায়, উপজেলার খাগাইল গ্রামের দুলাল মোল্যা রাস্তার ওপর ছাগল বেঁধে রাখেন। জহুরুল মোল্যা মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ছাগল বেঁধে রাখা দড়িতে বাধা পেয়ে পড়ে যান। পরে রাস্তার ওপর কেন ছাগল বেঁধে রেখেছে শুনতে গেলে দুলাল মোল্যা ও তার লোকজন জহুরুলকে মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আহত হন আজিজুল মোল্যা, জহুরুল মোল্যা, বিনু বেগম, জুবা মোল্যা ও রেজান মোল্যা। তাদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করতে আসেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গ্রম্নপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেম্বার গট্টি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মাতুব্বর ও সাবেক ইউপি সদস্য আজিজ মোলস্নার লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ সূত্রধরেই শনিবার সকালে দুই গ্রম্নপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ সংঘর্ষে যোগ দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সালথা থানার এসআই সুজন বিশ্বাস বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছাতিরচর গ্রামের ও বিএনপি নেতা পরশ মাহমুদ ও সাবেক মেম্বার রমিজ উদ্দিন গংদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশ মাহমুদ, নুরুল আমীন, শফিকুল ইসলাম, মালেক মিয়াসহ প্রায় শতাধিক লোক রমিজ উদ্দিন মেম্বারের লোকদের অতর্কিতভাবে হামলা চালালে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতরা হলেন সাবেক মেম্বার রমিজউদ্দিন (৫২), মাস্টার মিয়া (৫৫), আশ্রব আলী (৬০), বাচ্চু মিয়া (৫২), সিপাহী মিয়া (৫৫), জাকির (৪৫), জামাল উদ্দিন (৬০), তাহাজ্জত মিয়া (২৮), রংমালা খাতুন (৪৫), আনিছ মিয়া (১৫)। তাদের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত সাবেক মেম্বার রমিজ উদ্দিন বলেন, তার প্রতিপক্ষ গ্রম্নপটি গত কিছু দিন আগে ছাতিরচর গ্রামে ৬-৭টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে দাবি করেন।
নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, উভয় পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে।