শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

ভোগান্তির আরেক নাম খানাখন্দে ভরা কালই-রামকৃষ্ণপুর সড়ক

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন -যাযাদি

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। খানাখন্দে ভরা সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার যাত্রী ও শতাধিক গাড়ি চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। কিন্তু বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং ওঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত ট্রলি- নসিমন, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে।

জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে থেকেই কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। সর্বশেষ কত বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয় তা অনেকেরই মনে নেই। এরপর মেরামত না করায় সড়কের প্রায় সবস্থানেই ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে।

অটোরিকশাচালক সুমন মিয়া বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেও অসুস্থ হয়ে ওঠে। অনেক সময় রিকশায় করে এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে। সড়কের ঝাঁকুনিতে গর্ভবতী নারীদের এই সড়কে চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

স্কুল পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে এই একমাত্র সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। অথচ এই সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে ড্রেস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাটাচলা করা যায় না। পানির নিচে থাকা গর্তে চাকা পড়ে রিকশা উল্টে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সবাইকে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফ বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তার এই বেহাল দশায় খুবই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ২০-২৫ মিনিট।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, 'আমাদের রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সব লোকের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হলো রামকৃষ্ণপুর থেকে কালই মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি।

এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য রিকশা, ভ্যান, ইঞ্জিন চালিত নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। খানাখন্দ রাস্তায় যাতায়াত খুবই কষ্ট এবং যানবাহনগুলো খুব ঝুঁকির মধ্যেই যাতায়াত করে। জনস্বার্থে এই রাস্তাটি সংস্কার বিশেষ দরকার।

হরিরামপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাজহারুল হক আকন্দ জানান, এই অর্থবছরে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং রাস্তাটির অনুমোদন হয়েছে। খুব দ্রম্নতই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে