ফরিদপুরের ভাঙায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজি বাইকের দুই যাত্রী নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে বেপরোয়া মোটর সাইকেলের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী নামক স্থানে পাইপ ভর্তি একটি ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুজন হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামের খালেক চোকদারের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪২) ও চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী গ্রামের ইমান মাতুব্বরের ছেলে কবির মাতুব্বর (৫৫)। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাঈদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ভাঙ্গা থেকে যাত্রী নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ভাঙ্গার চুমুরদীর দিকে যাচ্ছিল। পূর্ব সদরদী নামক স্থানে পৌঁছালে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সামনের চাকা ফেটে সামনের দিক থেকে আসা ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে বেপরোয়া মোটর সাইকেলের ধাক্কায় জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) নামে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বাঙ্গালমুড়ী গ্রামের মৃত আলী আহমেদের ছেলে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কাশিনগর- মিয়াবাজার সড়কের আবদুলস্নাহপুর আলমগীরের মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শনিবার দুপুরে তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছেলে জাহিদ হোসেন।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে এরশাদ ও তার বন্ধু আরফান বেপরোয়া গতিতে একটি মোটর সাইকেল নিয়ে অটোরিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা চালক গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোররাতে তিনি মারা যান।