একটা উৎসবের জন্য সারা বছর অধীর অপেক্ষায় বসে থাকেন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। একটা পুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় পরের পুজোর জন্য দিন গোনা। এইতো ক'দিন হলো বাংলায় পুরোদমে ঢুকেছে বর্ষা। আকাশে ছেঁড়া ছেঁড়া কালো মেঘ। বাতাসে ভেজা গন্ধ। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর জন্য দিন গোনা। ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব। এবার দেবীর দোলায় আগমন। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী ১০ অক্টোবর, মহাষ্টমী ১১ অক্টোবর, মহানবমী ও দশমী, ১২ অক্টোবর এই বছর মহানবমী এবং দশমী পঞ্জিকা মতে একই দিনে। এবার দেবীর ঘোটকে গমন। হবিগঞ্জ জেলায় এবার সেখানে ৬৪৩টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলার ৯ উপজেলায় ৫৬২টি এবং ৬টি পৌরসভায় ৮১টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। গত বছরে সংখ্যাটি ছিল ৯ উপজেলায় ৬০৯টি এবং ৬টি পৌরসভায় ৮৩টি।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৯টি উপজেলার মধ্যে হবিগঞ্জ সদরে ৪২, শায়েস্তাগঞ্জে ১২, লাখাইয়ে ৬৩, আজমিরীগঞ্জে ২৬, বানিয়াচংয়ে ১০৫, চুনারুঘাটে ৬৯, মাধবপুরে ১০৭, বাহুবলে ৫৫ এবং নবীগঞ্জ উপজেলায় ৮৩টি পূজামন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভাগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভায় ৩৬, মাধবপুরে ১৩, নবীগঞ্জে ৯, শায়েস্তাগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জে ৮টি করে এবং চুনারুঘাট পৌরসভার ৭টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নলিনী কান্ত রায় নিরু জানান, 'শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সবধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় মন্ডপের সংখ্যা কমেছে। তবে আমরা এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে চাই।'
যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য জেলা পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিমা প্রস্তুত ও পূজা চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সম্প্রীতি বজায় রাখা ও উস্কানি অথবা গুজব রোধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশির্ যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। উৎসব পালনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে জেলা পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।