শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

চিলমারী নদীবন্দরে কয়লা খালাসে বাঁধা

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চিলমারী নদীবন্দরে কয়লা খালাসে বাঁধা

ভারত থেকে আমদানিকৃত ১৯৭ মে. টন কয়লা প্রায় ৪ মাসেও চিলমারী নদীবন্দরে খালাস করতে না পারেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের ৫ জুন বন্দরে কয়লা নিয়ে বাল্কহেডটি চিলমারী নদীবন্দরে নোঙর করলেও দুই মালিকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আটকা পড়ে আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টায় প্রেস ক্লাব চিলমারীর অস্থায়ী ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর. কে ড্রেজিং এ-কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা।

সংবাদ সম্মেলন মাসুদ কবির রানা বলেন, 'ভারত থেকে চলতি বছরের ৫ জুন আমদানিকৃত ১৯৭ মেট্রিক টন কয়লা একটি বাল্কহেড করে নিয়ে আসি। যার সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এ.আই.টিসহ সরকারের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে।

বাল্কহেডটি চিলমারী ফকিরেরহাট ঘাটে আসলে সরকারি যাবতীয় নিয়ম মেনে কয়লা আনলোড করতে শুরু করি। কয়লা আনলোড করতে গেলে বাল্কহেডের মূল মালিক মো. আনোয়ার হোসেন কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। বাল্কহেডের ভাড়াটে মালিক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মূল মালিক আনোয়ার হোসেনের লেনদেন থাকায় কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। তারপর বাল্কহেডটি কয়লাসহ জোরপূর্বক কাঁচকোল ঘাটে নিয়ে আসেন তারা।

এরপর পণ্য খালাসির বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বৈঠক করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় চিলমারী মডেল থানা এবং জেলা প্রশাসকের নিকট ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। কয়লা আনলোডের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং কয়লা আনলোডসহ নিরাপদে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন মাসুদ কবির রানা।

এ ব্যাপারে চিলমারী থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, 'এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। দুই মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দ্রম্নত বসে মিমাংসার তাগিদ দিয়েছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে