শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

দুপচাঁচিয়ায় ধানক্ষেতে পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দুপচাঁচিয়ায় ধানক্ষেতে পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় রোপা আমন ধানের পোকা শনাক্তকরণে ও দমনে ক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলার চামরুল ও গোবিন্দুপুর ইউনিয়ন এলাকার মাঠে আলোক ফাঁদ স্থাপন করে পোকা শনাক্তকরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার দুপচাঁচিয়ায় ১১ হাজার ৭শ' হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ২শ' হেক্টর উফসী ও ৫শ' হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের চারা রোপণ করা হয়ছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় থেকে আমন ধানের ক্ষেত রক্ষায় ইতোমধ্যে দুটি স্থানে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো সেপ্টেম্বর মাস উপজেলার বিভিন্ন বস্নকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হবে।

উপজেলার পাঁচখুপী গ্রামের আমনচাষি কফিল উদ্দিন ও খুনীহারা গ্রামের আসাদ আলী জানান, পোকামাকড় দমনে আলোক ফাঁদ পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতিতে ক্ষেতের পাশে তিনটি বাঁশের ছোট খুঁটি স্থাপন করে তার সঙ্গে অন্ধকারে বৈদু্যতিক বাল্ব (আলো বা বাতি) জ্বালিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বাতি জ্বালালে পোকামাকড় সেদিকে আকৃষ্ট হয়। আলোর নিচে গামলায় ডিটারজেন্টের ফেনা মিশ্রিত পানি রাখা হয়। আলোর দিকে ছুটে আসা পোকামাকড় গামলার ফেনা মিশ্রিত পানিতে পড়লে আর উঠতে পারে না। এ থেকে ধানের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করা হয়। পরে ওই সব পোকামাকড় শনাক্ত করে তা থেকে ধানক্ষেত কীভাবে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলোক ফাঁদ স্থাপন করে তা থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় চিহ্নিতকরণসহ পোকা দমনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আলোক ফাঁদে পোকা দমনে ব্যবস্থা গ্রহণ পদ্ধতিটি কৃষকের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করলে একদিকে যেমন খরচ কম হবে অপরদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে