নিখোঁজের ৩৩ ঘণ্টা পর লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে

প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে নিখোঁজ হওয়ার ৩৩ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সবিতা রাণী দে (৪৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার সকালে গরুর খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। সবিতা রাণী দে উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের দেবপাড়া এলাকার মিলন কুমার দের স্ত্রী ছিলেন। মিলন পেশায় একজন চা বিক্রেতা। ভাটপাড়া বাজারে তার দোকান রয়েছে। মিলন কুমার দে বলেন, সোমবার সকালে দোকানে যাওয়ার সময় সবিতা গরুর খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের একটি বাঁশ বাগানের দিকে যান। দুপুরে ফোন করলে সবিতার ফোন বন্ধ পান। দ্রম্নত বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা তালাবদ্ধ। রাত অবধি সবিতার সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে বিষয়টি জানান। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে অভয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। এদিন রাত ৭টার দিকে প্রতিবেশী আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন সবিতার মরদেহ রাজমিস্ত্রি নিয়ামুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সবিতার দুই মেয়ে শুক্লা দে ও বৈশাখী দে বলেন, 'আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গুম করার উদ্দেশে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের দ্রম্নত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।' প্রতিবেশী পরিমল রায় জানান, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাজমিস্ত্রি নিয়ামুল ইসলামের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনার এক পাশ উঁচু দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই ট্যাংকের ঢাকনা খোলা হলে ভেতরে সবিতার মরদেহ দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভাটাপাড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রি নিয়ামুলের বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে সবিতা রাণী দে নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর মর্গে পাঠিয়েছেন। রিপোর্ট পেলে মৃতু্যর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।