পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরের্ যাভিস ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রোগীদের বাধ্য হয়ে উচ্চ মূল্য দিয়ে এই ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে অনেকে ভ্যাকসিন কিনতে না পারায় জলাতঙ্ক'র ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংকট সমাধানে এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছেন জেলাবাসী।
পটুয়াখালী জেলা শহরসহ উপজেলা শহরগুলোতে প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়সি মানুষ কুকুর, বিড়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত এসব রোগীরা সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন। কিন্তু গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরের্ যাভিস ভ্যাকিসিন সরবরাহ না থাকায় সরকারিভাবে রোগীদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে না। এতে করে আক্রান্ত রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি ভ্যাকসিন দীর্ঘদিনের জন্য সরবরাহ না থাকায় ক্ষুব্ধ হাসপাতালে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকার কৃষক মোতাহার হাওলাদার জানান, দুই দিন আগে তার নাতনিকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। এরপর তিনি পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। হাসপাতাল থেকে ড্রেসিং করে দিলেও কুকুরে কামরের যে ভ্যাকসিন দিতে হয়, তা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রতিটি ভ্যাকসিন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা এই ভ্যাকসিন না দিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। এতে করে জলাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও দেখছেন স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িতরা।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা জানান, র্'যাভিস ভ্যাকসিনটি কেন্দ্রীয় ওষুধ ভান্ডার থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর আমাদের এক-এক লটে দুই হাজারের মতো ভ্যাকসিন আসে। কিন্তু সরবরাহের চেয়ে আমাদের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এ কারণে বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শহরে ফার্মেসিগুলোতে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। রোগীরা কিনে নিয়ে আসলে আমরা তা দিয়ে থাকি।'
অন্যদিকে শহরের সড়কগুলোতেও বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না থাকায় শহরের অলি-গলিগুলোতে এখন দল বেঁধে কুকুরের অবাধ বিচরণ করতে দেখা যায়। এ কারণে বৃদ্ধ ও শিশুদের চলাফেরাও অনেকটা অনিরাপদ হয়ে উঠছে।